প্রত্যয় ডেস্ক: বাংলাদেশের একমাত্র নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস মালয়েশিয়ার আলবুখারি আন্তর্জাতিক ইউনিভার্সিটির (এআইইউ) প্রথম চ্যান্সেলর নিযুক্ত হয়েছেন। তার নিয়োগ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সামাজিক বাণিজ্যের ধারণাকে কাজে লাগিয়ে যারা মানবতার সেবা করতে চায় সেসব শিক্ষার্থীদের গড়ে তোলার জন্য ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে চ্যান্সেলর হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে।
ড. ইউনূস যুক্তরাজ্যের গ্লাসগো ক্যালেডোনিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়েরও চ্যান্সেলর। সামাজিক বাণিজ্য ধারণা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন তিনি। গ্রামীণ ব্যাংকের ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমের মাধ্যমে দরিদ্রতা নিরসনে কাজ করছেন তিনি। বর্তমানে গ্রামীণ ব্যাংকের ৮৪ লাখ সদস্য রয়েছে। যার ৯৭ শতাংশ নারী। গ্রাহকদের মাঝে এ পর্যন্ত বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ১ হাজার ২০০ কোটি ৫০০ লাখ মার্কিন ডলার।
তার কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক সম্মাননা প্রেসিডেন্সিয়াল সিটিজেন মেডেল, দি প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম এবং দি কংগ্রেশনাল গোল্ড মেডেলসহ বহু পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে ড. ইউনূস।
ক্ষুদ্রঋণ এবং সামাজিক বাণিজ্য নিয়ে তিনি চারটি বই লিখেছেন। ২০০৩ সালে লেখেন ‘ব্যাংকার টু দি পুওর, এ ওয়ার্ল্ড’। ২০০৮ সালে প্রকাশ পায় ‘উইদাউট পোভার্টি: সোশ্যাল বিজনেস অ্যান্ড দি ফিউচার অব ক্যাপিটালিজম’। ২০০৮ সালে ‘বিল্ডিং সোশ্যাল বিজনেস’ নামের বইটি বাজারে আসে। ২০১৭ সালে প্রকাশ পায় ‘এ ওয়ার্ল্ড অব থ্রি জিরোস’। ২০০৯ সালে ফোর্বস ম্যাগাজিনের সবচেয়ে প্রভাবশালী ১০ জন বিজনেস গুরুর তালিকায় ঠাঁই পান ড. ইউনূস।
আল বুখারির ভাইস চ্যান্সেলর এবং প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক দাতুক ড. আবদুল আজিজ তাজউদ্দিন বলেন, সামাজিক বাণিজ্যের মূল্যবোধ বিশেষ করে ড. ইউনূসের সামাজিক বাণ্যিজের সাতটি নীতির উপর ভিত্তি করে পুরো শিক্ষাক্রম সাজানো হয়েছে। যেন শিক্ষার্থীরা সফল সামাজিক উদ্যোক্ততা হতে পারে।
উল্লেখ্য, আল বুখারি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা তান শ্রী সায়েদ মুখতার আলবুখারি। এটি আল বুখারি ফাউন্ডেশনের অধীনে একটি অলাভজনক বেসরকারি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। দরিদ্রপীড়িত মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত করাই প্রতিষ্ঠানটির অন্যতম লক্ষ্য।